রানীর ঘাট

প্রিয়ার চাহনি (মে ২০১২)

সালেহ মাহমুদ
  • ৪৫
  • ১১
নদীর পাড় ধরে গড়ে ওঠা পাড়াটি জোনাক জ্বলা এই নিশুত রাতে যেন ঝিম মেরে ধ্যান মগ্ন হয়ে আছে। এই পাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু শ্রেণীর। দু’এক ঘর যা-ও মুসলমান আছে তা-ও নতুন বসতি। ধর্মান্তরিত মুসলমানও আছে কয়েক ঘর। কিন্তু তারাও তাদের হিন্দু আত্মীয়-স্বজনের সাথে একান্নবর্তী পরিবারের মতই বসবাস করে। নামাজ আর পূজা-আর্চার সময় ছাড়া আর কোন পার্থক্য তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। এই পাড়ার কেউ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হলেও কারো কোন বিকার ঘটে না। এখানে সবাই অদ্ভূত সহনশীল।
পাড়ার একেবারে শেষ প্রামেত্ম যেখানে গিয়ে রাস্তা শেষ হয়েছে সেখানেই নদীর পাড় জুড়ে শ্মশান ঘাট। এদিকটায় সাধারণত কেউ আসে না। একে তো ভূত-প্রেতের ভয়, তার ওপর আছে বিষধর সাপের উৎপাত। দিনের বেলায়ও এখানে কেউ খুব একটা আসে না। শুধুমাত্র যেদিন চিতা জ্বালানো হয় সেদিনই এই জায়গাটা মানুষজনে ভরে ওঠে। অনেকেই গালগল্প করে- অমবশ্যার রাতে নাকি এখানে ভূত-প্রেত আর পিশাচদের আড্ডা বসে। সে সময় কেউ যদি ভুল করে আশেপাশে যায় তবে আর রক্ষে নেই। একেবারে ঘাড় মটকে উলস্নাস করে ধেই ধেই করে নাচবে সারা রাত। আর সেদিনের সেই নাচ আর হৈ-হলস্নার আওয়াজ শোনা যায় বেশ দূরে থেকেও। পরদিন সকালে কৌতুহলী সবাই গিয়ে দেখে শ্মশানঘাটে কারো না কারো লাশ পড়ে আছে। তারপর থানা-পুলিশ আরো কত কি! অবশ্য এমনটা যে প্রত্যেক অমাবশ্যায়ই ঘটে এমন নয়। কিন্তু বছরে দু’একবার তো ঘটবেই। আর এখানে মৃত্যু হলে তা নিয়ে কেউ বেশি ঘাটাঘাটি করে না। তাড়াতাড়ি সৎকার করে হয় কবর দেয় নয় চিতায় তোলে।
আজ ভরাট জ্যোৎস্না বলে ভূত-প্রেতের কোন ভয় নেই। সেজন্যই কি-না কে জানে টুকু আর চন্দ্রকে হাত ধরাধরি করে এই শ্মশান ঘাটের দিকেই যেতে দেখা যায় জ্যোৎস্নামাখা মধ্যরাতে। তাদের চেহারায় গাঢ় হয়ে লেপ্টে আছে মুগ্ধতা। তারা মুগ্ধ হয়ে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। ঘোরে পাওয়া মানুষের মতোই খুব ধীর পায়ে তারা হাঁটছে আর কথা বলছে মৃদু স্বরে।
অদ্ভুত নিস্তব্ধ প্রকৃতি। ঝিরঝির করে বয়ে যাওয়া বাতাস ছাড়া আর কিছুর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। ধবধরে জ্যোৎস্নায় ভাসছে সবকিছু। ঘন হয়ে থাকা গাছ-গাছালির ছায়াকেও ছায়া মনে হয় না। ওখানকার সবকিছুই দেখা যায় স্পষ্ট। ওরা দু’জন শ্মশান ঘাটটা বাঁয়ে রেখে ডান দিকে লাল মাটির পায়ে চলা পথ ধরে ঢাল বেয়ে নামতে থাকে। হঠাৎ করে কি হয় টুকু কিছু একটা দেখে ভয় পেয়ে দু’কদম পিছিয়ে আসে। শক্ত করে চন্দ্র’র হাত আঁকড়ে ধরে কম্পিত কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে বলে, দেখো তো ওটা কি?
ইশারা লক্ষ্য করে তাকিয়েই খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে চন্দ্র। তার শরীরে খেলে যায় উচ্ছল তরঙ্গ। হাসতে হাসতেই সে টুকু’র কণ্ঠলগ্ন হয়ে ফিসফিসিয়ে বলে, তুমি কোনদিন প্যাঁচা দেখো নি? ওটা তো লক্ষী প্যাঁচা।
দেখো, ও কেমন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। খেয়াল করেছো?
ওর স্বভাবই এমন। ও মানুষজন দেখলে এভাবে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কোন ভয় নেই তোমার। আমি আছি না।
টুকুর কি হয়, ভয় কেটে যায় পুরোপুরি। চন্দ্রকে খুব আলতো স্পর্শে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে। চন্দ্র যেন এটাই কামনা করছিল। সে নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দেয় টুকুর কাছে। টুকু ফিসফিসিয়ে বলে, অদ্ভূত ভালোলাগার মানুষ গো তুমি, তোমাকে আমি ভুলবো না কোনদিন। এই একটি রাত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার জীবনে।
আমি শুধুই ভালোলাগার মানুষ, তাই তো? চলো, নদীর ঘাটে গিয়ে বসি। তুমি না জ্যোৎস্না ধোয়া রাতের সৌন্দর্য দেখতে চেয়েছ? চলো।
ধীরে ধীরে নদীর ঘাটে নেমে আসে তারা দু’জন। শান বাঁধানো ঘাটের চিহ্ন দেখা যায় ঘাট জুড়ে। ঘাটের উপরের অংশে দুই পাশে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো দুটো বেঞ্চি নতুন বলে বলে মনে হয়। সেখানে এসে পাশাপাশি বসে তারা। টুকু জিজ্ঞাসু হয়ে ওঠে- এখানে এত সুন্দর বেদী, মনে হচ্ছে নতুন বানানো!
- হ্যাঁ কিছুদিন আগেই বানানো। এটা হলো রানীর ঘাট। তাই প্রতি বছরই এটাকে ঠিকঠাক করা হয়।
- রানীর ঘাট! একটু অবাক হয়ে আপন মনে আওড়ায় টুকু। আবার বলে, এই ঘাটটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক পুরনো। অনেক আগের তৈরী বুঝি এটি?
- আমিও জানি না। তবে শুনেছি ভাওয়াল রাজা নিজ হাতে বানিয়েছেন এটি।
- এখানে উনি ঘাট বানাতে যাবেন কেন?
- সে এক অদ্ভূত প্রেমের কাহিনী। শুনবে তুমি?
- বলো, মনে হচ্ছে খুব ইন্টারেস্টিং গল্প।
চন্দ্র রহস্যময়ী হয়ে ওঠে। দৃষ্টি মেলে দেয় নদীর দিকে।
টুকুও নদীর দিকে তাকায়। কোটি কোটি মুক্ত দানা ঝিকমিক করছে নদীতে। সামান্য ঢেউ নদীর অস্তিত্ব প্রমাণ করছে। মৃদুমন্দ বাতাস বয়ে যাচ্ছে। গাছগাছালিতে শর শর আওয়াজ তুলছে বাতাস। পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে চাঁদ। টুকু একবার চাঁদের দিকে তাকায়, আর একবার তাকায় নদীতে চাঁদের প্রতিবিম্বের দিকে। ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায় চাঁদ। আবার এক হতে থাকে, আবার ভাঙ্গে। নদীতে দূরে একটা বড় নৌকা দেখা যায় আবছা ছায়ার মতো। মনে হচ্ছে এদিকেই আসছে সেটি।
শোন, ভাওয়াল রাজা একবার এ পথ দিয়েই বজরায় করে যাচ্ছিলেন আনন্দ ভ্রমণে। এই ঘাট যখন পার হচ্ছিলেন তখন তিনি অপূর্ব সুন্দরী এক তরুণীকে দেখতে পান ঘাটে। রাজা তার রূপ-সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে যান আর তার বজরা ভিড়ান এই ঘাটে। খোঁজ-খবর নিয়ে তরুণীকে প্রেম প্রস্তাব পাঠান রাজা। তরুণী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় এই প্রেম প্রস্তাবে। যেখানে নির্দেশ দিলেই তাকে ধরে নেওয়া যায় সেপাই দিয়ে, সেখানে প্রেম প্রস্তাব! ভাবো তো একবার। কি অদ্ভূত ঘটনা। তরুণী প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এই বলে যে, রাজা যদি এইখানে বসবাস করতে রাজি থাকেন তাহলে তিনি রাজার প্রেম প্রস্তাব মানতে পারেন।
তরুণীর জবাব শুনে রাজা আরো বিমোহিত হন। তিনিও উত্তরে জানিয়ে দেন, যদি সে রাজি হয় তাহলে তিনি এখানে একটি প্রাসাদ বানিয়ে দিবেন আর প্রতি মাসে একবার করে এসে থাকবেন দু’দিনের জন্য।
রাজার প্রস্তাবে তরুণী রাজী হয়ে যান। আর সেদিনই একেবারে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাদের বিয়ে হয়ে যায়। আর কি আশ্চর্য, সবাইকে অবাক করে দিয়ে তরুণীর পর্ণ কুটিরেই বাসর রাত কাটিয়ে দেন রাজা। সেখানেই থাকেন দু’দিন। পাইক-পেয়াদা, উজির-নাজির সবাই অবাক হন রাজার প্রেম নিষ্ঠা দেখে। এই দুদিনেই রাজা একটা ছোটখাট প্রাসাদ আর এই ঘাট বাঁধানোর ব্যবস্থা করে দেন। এরপর কথামত রাজা প্রতি মাসে একবার করে আসেন আর এখানে থেকে যান কয়েকদিন। রানীকে নিয়ে বজরায় করে ঘুরে বেড়ানো ছিল তার এক মজার শখ। এই রানীর প্রেমে রাজা এতই মুগ্ধ ছিলেন যে, প্রায়ই গান বাঁধতেন তাকে নিয়ে। রাজার বাঁধা একটি গান এখনো ছড়িয়ে আছে লোকমুখে। তুমি শুনেছ কিনা জানি না, তবে খুবই রোমান্টিক সেই গানটি। শুনবে?
- শুনব, তবে গেয়ে শোনাতে হবে।
টুকুর কথায় লাজুক হাসে চন্দ্র। মুখ নিচু করে নদীর দিকে তাকায়। ঝিরঝিরে বাতাসটা একটুক্ষণ থেমে আবার বইতে শুরু করে মৃদুমন্দ। কোথায় যেন একটা রাতজাগা পাখি ডেকে ওঠে বার কয়েক। দূরে দৃশ্যমান নৌকাটি অনেক কাছে চলে এসেছে এখন। এখন বোঝা যাচ্ছে ওটা সাধারণ নৌকা নয়। ওটা একটা বজরা। অলস ভঙ্গিতে ওটা ধীরে ধীরে এদিকেই আসছে।
কোথা থেকে যেন খুব হালকা অথচ মিষ্টি একটি সুর বাতাসে ভেসে আসতে শুরু করে। টুকু তার মাথামুন্ডু কিছুই বোঝে না। চন্দ্র’র দিকে তাকায়। সে স্বপ্নালু চোখে তাকিয়ে আছে ভেসে আসা বজরার দিকে। তাকিয়ে থাকতে থাকতেই সে গুণ গুণ করে ওঠে-
ওই ডাগর চোহের চাউনি দিয়া
করলা আমায় যাদু
তুমি রূপ নগরের রাজকন্যা
আমি তোমার কানু গো..
আমি তোমার কানু।

লাল মাডির ওই আহাবাহা
পন্থের উপর দিয়া,
যহন তুমি চইলা বেড়াও
নাচে আমার হিয়া
আমি তোমার লাগি ছারতাম পারি
রাজার সোনার মুকুট গো
আমি তোমার কানু।

ওই ডাগর চোহের চাউনি দিয়া...

নেপথ্যে মিষ্টি সুর মুর্ছনা, পাশে বসা চন্দ্র’র অভূতপূর্ব প্রেমসঙ্গীত, পশ্চিমে হেলে পড়া চন্দ্রিমা’র মায়াবী আলো, নদীর উপর লক্ষ-কোটি মুক্তোর ঝিকিমিকি, ঝিরঝিরে বাতাস আর অপার নৈসর্গিক দৃশ্যে মোহিত হয়ে যায় টুকু। ততক্ষণে নদীতে দেখা বজরাটি ঘাটে এসে ভিড়েছে। টুকু আর চন্দ্র হতবাক হয়ে দেখে বজরাটিকে। পুরো বজরাটি যেন সোনায় মোড়ানো। বজরাটি ঘাটে ভিড়ার সাথে সাথেই ঘাটের পুরনো ভাঙ্গা-চোরা দৃশ্য বদলে গিয়ে একেবারে নতুন হয়ে যায় মুহূর্তে। টুকু আর চন্দ্র’র মুখ থেকে কোন কথা সরে না। তারা স্বপ্নাক্রান্ত মানুষের মতো দেখতে থকে সবকিছু।
বজরা থেকে রুপোয় মোড়া সিঁড়ি এসে ঘাটে স্থাপিত হয়। বজরার পাটাতনে আবির্ভূত হন ঝলমলে পোষাক পরা প্রেমিক যুগল। ধীর পদক্ষেপে নেমে আসেন তারা ঘাটে। টুকু আর চন্দ্র’র সামনে এসে হাসিমুখে থামেন তারা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা দু’জনও দাঁড়িয়ে যায়। কি বলবে না বলবে কিছু খুঁজে পায় না। প্রেমিক পুরুষটিই মুখ খোলে। ‘‘আমি ভাওয়াল রাজ আর ইনি আমার স্ত্রী, এই ঘাটের অধিশ্বরী। তোমরা কারা গো, এমন আকুল করে আমাদের ডাকলে?’’
চন্দ্র’র মুখে কোন কথা সরে না। দুই হাত জড়ো করে প্রণাম করে রাজাকে। খুব ধীরে ধীরে বলে, সব কিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমরা স্বপ্ন দেখছি না তো? সত্যিই কি আপনারা সেই গল্পে শোনা প্রেমিক রাজা-রানী? আমি কিছু বুঝতে পারছি না। এও কি সম্ভব? কত পুরনো সেই গল্প, অথচ আজ আপনারা আমাদের সামনে এসে সশরীরে কথা বলছেন? এ তো শুধুই স্বপ্ন, শুধুই মায়া-মরীচিকা !
না, এ স্বপ্ন কিংবা মায়া-মরীচিকা নয় চন্দ্রমলিস্নকা। তুমি অসাধারণ এক মুহূর্তে এখানে উপস্থিত হয়েছো তোমার বন্ধুকে নিয়ে। প্রতি বৎসর এ রকম একটি চন্দ্রালোকিত রাতে আমরা এ ঘাটে এসে ঘুরে যাই। তোমার গাওয়া গানটির রাণীকে দেখো, এই এতো বৎসর পরেও তার সেই ডাগর চোখ মায়া হরিনীর মতো আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে। তোমার সুমধুর কণ্ঠের গান শুনে তোমার সাথে কথা না বলে পারলাম না আমরা। আমি আশীর্বাদ করি, তুমিও তোমার প্রেমিক পুরুষকে এভাবেই প্রেমডোরে বেঁধে রাখবে সারা জীবন।
রাজার এ রকম আশীর্বাদ শুনে কেঁপে ওঠে চন্দ্র। কম্পিত কণ্ঠে বলে ওঠে, এ কী আশীর্বাদ করলেন রাজা মশায়! আপনি জানেন কত বড় সর্বনাশের ইঙ্গিত দিলেন আপনি? দয়া করে আপনার আশীর্বাদ ফিরিয়ে নিন, দয়া করুন।
না চন্দ্র, রাজা কখনো আশীর্বাদ ফিরিয়ে নেন না। বিশ্বাস করো, আরো এক যুগ পরে যদি তোমার সাথে আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে তুমি আজকের রাতটির জন্য আমাকে হাজারো ধন্যবাদ জানাবে। সুখে থেকো চন্দ্র। যাও, চাঁদ ডোবার আগেই গৃহে ফিরে যাও, নয়তো অমঙ্গল হবে, যাও, ফিরে যাও গৃহে।
কথা কয়টি বলেই রাজা-রানী বজরায় ফিরে যান। বজরার সেই রুপোলী সিঁড়ি উঠিয়ে নেয়ার সাথে সাথেই আবারো পুরনো চেহারায় ফিরে আসে ঘাটটি। চন্দ্র-টুকু কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রানীর ঘাটে। হয়তো তারা দাঁড়িয়ে থাকবে অনন্তকাল...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন আমি তো ভাইয়া স্বপ্নে ছিলাম। চন্দ্র নামটির প্রতি আমার অনেক দুর্বলতা আছে। কেননা আমারও স্বপ্নদেখা এক রাজকন্যা আছে। নাম তার চন্দ্রমল্লিকা। যদিও নামটি আমার দেয়া। তবেই এই নামেই তাকে আমি চিনি, একসাথে পাড়ি দেই দিগন্ত। তবে শুধুই স্বপ্নে। সেই চন্দ্রকে আপনার গল্পে পেয়ে গেলাম। পুরো গল্পে মনে হচ্ছিল গল্পের টুকু ছেলেটা কেবলই আমি। গল্পে বুদ হয়েছিলাম। টুকু যখন চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরেছিল সেই সময়টাতে আমিও স্বপ্নের রাজ্যে ভেসেছিলাম। একজন পাঠককে এতটুকু গল্পের মধ্যে এতগুলো সুখের অনুভূতি দেয়া, কল্পনার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া যেনতেন লেখকের কাজ নয় ভাইয়া। অসম্ভব রকম মুগ্ধ হলাম। অসাধারণ লিখেছেন। বিগ স্যালুট টু ইউ।
আরেফিন, তোমার মুগ্ধতা আমাকেও মুগ্ধ করলো। জানি না কেমন লিখেছি, তবে তোমার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে। ধন্যবাদ অনেক।
খোরশেদুল আলম চমৎকার বর্ণনায় গল্পের মধ্যে স্বপ্নের মায়াজালে মুগ্ধ হলাম। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ খোরশেদুল আলম ভাই
স্বাধীন অসাধারণ গল্প।
পারভেজ রূপক মনে হচ্ছে গল্পটার আরো কয়েকটা সিকুয়াল ছিল। সেগুলো পড়া হয়নি তবু ভাল লাগল গল্পটা।
ঠিক ধরেছেন রূপক। এর আরো দু’টো পর্ব আছে। প্রথমটি “চন্দ্রমল্লিকা”, দ্বিতীয়টি “মায়াবী জ্যোৎস্নার ডাক”, এটি তৃতীয় পর্ব। আরো আট-দশটি এপিসোড পূর্ণ গল্পের আদলেই আসবে সামনে। তেমনই ইচ্ছা আছে। তবে এই সিরিজের অনেক পরের একটি পর্ব আগেই লিখে ফেলেছি “কুয়াশার কান্না” নামে, শীত সংখ্যায় দিয়েছিলাম ওটা। ধন্যবাদ আপনাকে।
রুপম অদ্ভূত গল্প রে বাব্বা। কোথায় বাস্তবের প্রেমের গল্প'র মাঝে নিয়ে আসলেন রাজা-রানী। তারপরো ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
অদৃশ্য মানবী অসাধারণ এক কাহিনীকাব্য। খুব ভালো লাগলো।
সেলিনা ইসলাম বরাবরের মতই সুন্দর সাবলীল গল্প ভাল লাগল শুভেচ্ছা

২৫ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪